| ||
‘ — ,
, , , — ’ , , — , , , — , — ‘ , ’ ’ , , - — — — , — , , ? , — — — — — — — — , , , ? , - , , — , , — — , — — — ? — — — , — ? , , , , - - , () , , () () , — , , , , , , — , , , ? ‘ ’ , , -— , , , ? , , , , , — , , , , , ? ? , ‘’ , , , , — - , — , , - — — , , ? , , , , —‘ —‘ ’— .... — — ; ’ , - - , , , , - — , **** : , — ? |
Tuesday, February 19, 2013
এ দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়াতে পাড়েন না
Thanks to Sonia Gandhi
| ||
,
, , , - , - , , ? , —“ ” , ,
-- , ( ) ‘ ! ’ , : ‘ , !’ , , ? , , , ---, — ? ? ! , , - ! , - ? ? — , , - , , , , , , , ? , ? , , - ? , - ? , , , , , , ! , , , , , , ( ) ? ( ), , , - , , , , ; , ! , , ‘’ — “ ” |
বিরহের কবিতা
বাংলার প্রখ্যাত বিভিন্ন কবির ২৬টি বিরহের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে কলকাতার এক ধনাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিঁনি ছিলেন অগ্রণী বাঙ্গালী কবি, ঔপন্যাসিক, সঙ্গীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, কন্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ্য সাহিত্যিক মনে করা হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজী অনুবাদের জন্য তাঁকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইউরোপের বাহিরের প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসাবে তিনি বিশ্বে ব্যপক খ্যাতি লাভ করেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ই অগাস্ট জোড়াসাঁকোর বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তবে মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত তিঁনি সৃষ্টিশীল ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর কবিতা
Thursday, February 7, 2013
Tuesday, February 5, 2013
চরম সর্বনাশ!
চরম সর্বনাশ!
প্রণব ব্যানার্জি
এরাজ্যে বসবাসকারী সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের এক চরম সর্বনাশ ও সাম্প্রদায়িক হিংসার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আমি মমতামুগ্ধ ও মমতাপ্রেমী সংবাদপত্র থেকেই মমতাদেবীর অতীত ও বর্তমানের সাম্প্রদায়িক কাণ্ড-কারখানার কিছু উদাহরণ তুলে দিলাম: ২১-০৪-২০১২তারিখে বর্তমানের ভেতরের পাতায় যা লেখা হয়েছে তা এরকম, ‘‘ইমাদের জন্য ভাতা ঘোষণার বিরুদ্ধে এবার সরব হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও ভারত সেবা সংঘ। মুখ্যমন্ত্রী ওই সিদ্ধান্তকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। শুক্রবার কলেজ স্ট্রিসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি সভায় তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের দেওয়া কর কেন ইমামদের পকেট ভরার জন্য দেওয়া হচ্ছে ? হিন্দু পুরোহিত বা যুবকেরা কী দোষ করেছে ? বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে।....’’
** এই খবরটি পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নানা কাজ-কর্মের মধ্য দিয়ে প্রকারন্তরে প্রবীণ তোগাড়িয়া, নরেন্দ্র মোদী, অশোক সিঙ্ঘলদের পশ্চিমবঙ্গে পা-রাখার ও ঠাঁই পাবার জায়গা করে দিচ্ছেন! ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছেন, সংখ্যালঘু উন্নয়নে তাঁর সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রায় একশো শতাংশ ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছে। অথচ গত দেড় বছরে রাজ্যে সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের তেমন সুযোগ দেওয়া যায়নি বলে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিল তাঁরই হাতে থাকা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ২৪-১১-২০১২)।
** সত্য প্রকাশিত হয়। দেরিতে হলেও।
‘‘মিলন মেলা প্রাঙ্গণে হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কার্যত গুজরাটকে অনুসরণ করার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন কাটজু। তিনি বলেন, উনি জানেন কি, সারা দেশের মধ্যে গুজরাটেই সবথেকে বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভোগে ? গুজরাতে অনেক শিল্প-কলকারখানা হয়েছে, এটা ঠিক কথা। কিন্তু এই সাফল্যেই সব নয়। এই আংশিক সাফল্য দেখে গুজরাটকে মডেল হিসাবে অনুসরণ করার কথা ভাবা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।’’ (সূত্র: বর্তমান, ২৬-১১-২০১২)।
** বস্তুত মনেপ্রাণে নরেন্দ্র মোদীপ্রেমী এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মাঝে মাঝে বেরিয়ে আসে তাঁর মনের কথা।
মমতা কি সংখ্যালঘু দরদী ? এ প্রসঙ্গে গুজরাট প্রশ্নে লোকসভায় ভোটাভুটির সময় তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কে ১৭ই বৈশাখ ১৪০৯তারিখে আনন্দবাজারের সম্পাদকীয়, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস তো আগে হইতেই সমর্থনের কথা ঘোষণা করিয়া দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পাইতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে বাজপেয়ীকে খুশি করার এমন মওকা হাতছাড়া করা কঠিন। ইহার পরও গুজরাতের নিহত-নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য তাঁহার উদ্যোগ যেমন কুম্ভীরাশ্রু বলিয়া গণ্য হইবে, তেমনই নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফার দাবি প্রতারণামূলক ও লোক দেখানো শোনাইবে।’’
** মমতাদেবী সর্ববিষয়েই কুম্ভীরাশ্রু ফেলেন, সংখ্যালঘু ভাইয়েরা সতর্ক হোন।
‘‘Last week Ms. Banerjee set a new law in parliamentary decorum: She flung a sheaf of papers at the Speaker’s podium and then announced her ‘resignation’ from the House. The theatrics were supposedly on account of Speaker Somnath Chatterjee’s rejection of an adjou
ment motion she had sought to move on the issue of influx of Bangladeshi nationals.’’ (The Hindu, ০৮-০৮-২০০৫)।
** অর্থাৎ তৃণমূলনেত্রী সেদিন ‘‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের’ বিরুদ্ধে লোকসভায় সরব হতে গিয়ে, লোকসভায় মাননীয় অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছুঁড়ে মেরেছিলেন। তৃণমূলনেত্রী কি জানেন না যে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যেই সংখ্যালঘু ভাইদের অনেককেই প্রায়শই হেনস্তা করা হয় ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে?
আজকের রুদালী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন অতীতে সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে এরকম ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করছিলেন সেই সময়ই অভিনেতা দিলীপকুমারকে সংখ্যালঘু হবার অপরাধে হিন্দু মৌলবাদীরা আক্রমণ করছিল। The Statesman, 13-07-1999 আর তাই দিলীপকুমারকে বাঁচাবার জন্য সম্পাদকীয়তে লিখেছিল, ‘‘Dilip says he may be forced to abandon Mumbai and live elasewhere. If he wants to live in the most civilized metropolies in the country he should come to Calcutta.’’ অর্থাৎ ঐ অভিনেতাকে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এসে থাকার উপদেশ দিয়েছিলো। আর ঐ সময় The Sunday Times of India লিখেছিলো ‘‘West Bengal is still a safe haven for minorities’’ অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের বসবার করার জন্য নিরাপদ স্বর্গরাজ্য।
সৌভ্রাতৃত্ব-সৌহার্দের ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলা আজ মমতাদেবীর কুটিল ষড়যন্ত্রের শিকার হতে চলেছে।
‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সরকার ইমামদের জন্য ভাতা বণ্টনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের কাঁটা। ইমাম ভাতার নাম করে আসা টাকা ইমামের পরিবর্তে ভুয়ো পরিচয়ে তুলে নিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা – এমনই অভিযোগ উঠেছে হুগলির গোঘাট থানার টাঁড়ুই গ্রামে। স্থানীয় এক দাপুটে তৃণমূল নেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ইমাম ভাতার আবেদনপত্রে নিজের বাবার নাম লিখে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে গ্রমাবাসীর অভিযোগ। শুধু তাই নয়, দলের ছাতার তলায় বসে টাঁড়ুই গ্রামের মসজিদের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং চাষের জমিও নাকি হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। সেই জমি এবং টাকা ফেরতের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। অন্য দিকে, এই ঘটনার প্রসঙ্গেই পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতার বাবার নাম ইতিমধ্যেই ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এমনকী, একটি ডাকাতির মামলায় বছর ছ’য়েক জেলও খেটেছেন তিনি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম শেখ মোহর চাঁদ। অভিযোগ, বাবা শেখ মহম্মদ নাজির আহমেদের নামে ইমাম ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অথচ এর বিন্দুবিসর্গও জানেন না টাঁড়ুই গ্রামের ইমাম সাহেব শেখ আলাউদ্দিন পাঠান।’’ (সূত্র: এই সময়, ০৯-১২-২০১২)।
** ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষকে এভাবে অসন্মানিত ও অপমানিত হতে আমি ইতিপূর্বে দেখিনি।
‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইমামদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও আর্থিক সঙ্কটের জেরে উত্তর ২৪পরগনা জেলায় আগস্ট মাস থেকে ইমাম ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তার ফলে জেলার প্রায় ২৩০০ইমাম আগস্ট মাস থেকে ভাতা পাননি। এছাড়াও জেলার প্রায় এক হাজার মোয়াজ্জেমও নভেম্বর সামের ভাতা পাননি। তবে এই চিত্র শুধু উত্তর ২৪পরগনা জেলারই নয়। মুসলিম প্রধান মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলাতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন।’’ (সূত্র: বর্তমান, ১১-১২-২০১২)।
** ধোঁকাবাজি, কেবল ধোঁকাবাজি চলছে, সে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু যাই হোন না কেন!
‘‘তবে জঙ্গিপুরে বড় চমক, বি জে পি’র পক্ষে অস্বাভাবিক জনসমর্থন। ২০০৯সালের লোকসভা নির্বাচনে ওই আসনে পদ্মফুলের পক্ষে ভোট পড়েছিল ২২ হাজারের মতো। এবার বি জে পি প্রার্থী সুধাংশু বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট হল ৮৫ হাজার ৮৮৬। অর্থাৎ, আড়াই শতাংশ থেকে তাদের ভোট এক লাফে বেড়ে ১০ শতাংশের উপর চলে গিয়েছে।’’ (সূত্র: বর্তমান, ১৪-১০-২০১২)।
** ২০ বছর পর আর এস এস আমাদের রাজ্যেই সর্ববৃহৎ প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে, বি জে পি’র বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। আর এই সাহস ও স্পর্ধা জোগাচ্ছেন ‘সংখ্যালঘুদরদী’ মুখ্যমন্ত্রী! এ অর্বাচীন মুখ্যমন্ত্রীকে আর বাড়তে দিলে বাড়বে সাম্প্রদায়িক বিজেপি সেটাই স্বাভাবিক। ‘‘সংখ্যালঘুদের জন্য ৫৬টি ‘মার্কেটিং হাব’ গড়া হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।...তাঁর দাবি, ক্ষমতায় আসার আগে যে সব কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক বছরেই তা করা হয়ে গিয়েছে। আর কী করা যায়, সরকার এখন তা ভাববে।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১১-১০-২০১২)।
** সত্যি কি ভয়ঙ্কর মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের সব কাজই নাকি হয়ে গিয়েছে !
‘‘সরাসরি মুসলিম সংরক্ষণ চেয়ে বার্তা দিল তৃণমূল’’ শিরোনামে খবর, ‘‘তা হলে সুলতান কেন এই প্রসঙ্গ তুললেন ? তৃণমূল সূত্রের খবর, সুলতান নিজেও বিষয়টি সম্পর্ক অবহিত। কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভেবেই তিনি ওি দাবি তুলেছেন। দলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার যদি ওই সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে যে কেউ তার বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন। আদালত যে রায় দেবে, সরকার তা মানতে বাধ্য। কিন্তু আদালতের রায় বিরুদ্ধে গেলেও সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে বার্তা যথাস্থানে পৌঁছে যাবে।’’ উদাহরণ হিসেবে সিঙ্গুর আইনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, ‘‘বিষয়টি আদালতে ঝুলে রয়েছে। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছেন যে, অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা কতটা।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আদালতের উপর তো কারও হাত নেই। ফলে সেই রাবের জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৩-০৫-২০১২)।
‘‘এবার সরাসরি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের দাবি তুলিয়া দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সংখ্যালঘু নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদ দাবি তুলিয়াছেন অথবা তাঁকে দিয়া দাবিটি তোলানো হইয়াছে, হয়তো এই লক্ষ্যে, যাহাতে পরে বিপাকে পড়িলে বলা যায়—দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে তো এমন দাবি নাই। সংরক্ষণের এই দাবির আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী দুইটি স্বতন্ত্র ঘোষণায় ইমামদের মাসিক ভাতা এবং মুয়েজ্জিনদের মাসোহারা দিবার সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিয়াছেন। এই গোটা কর্মসূচিরই অভিমুখ ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে কিছু পাওয়াইয়া দেওয়ার। সংবিধানে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক অনুগ্রহ বিতরণ অবাঞ্ছিত অথবা সরাসরি নিষিদ্ধ। সংরক্ষণ কিংবা অনুগ্রহ বিলির একমাত্র স্বীকৃত ভিত্তি সেখানে সামাজিক অনগ্রসরতা, আর্থিক পশ্চাৎপদতাও যাহার একটি অঙ্গ হিসাবে গণ্য হইতে পারে, ধর্মীয় পরিচয় নয়। কিন্তু তাহাতে সুলতান আহমেদ কিংবা তাঁহার নেত্রীকে দমানো যায় নাই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৬ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট বাক্সবন্দি করিতে বোধ করি যে কোনও পন্থাপদ্ধতিই শিরোধার্য।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৬-০৫-২০১২)।
** ভয়ঙ্কর শঠতা-প্রবঞ্চনা-তঞ্চকতা করা হচ্ছে আমার সংখ্যালঘু মা-ভাই-বোনদের সঙ্গে।
‘‘বাম সরকারের আমলেই আলিয়া মাদ্রাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ যুক্ত করার দাবিতে এক বছর আগে মাদ্রাসা ইউনিয়নের ছাত্ররা অনশন-আন্দোলন করেছিলেন। তখন তাঁদের অনশন ভাঙিয়ে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁরা সরকারে এলে ছাত্রদের ওই দাবি পূরণ করা হবে। এ দিন শিলান্যাস অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নে’র রাজ্য কমিটির তরফে একটি বিবৃতি বিলি করা হয়। সেই বিবৃতিতে কার্যত ‘কটাক্ষই’ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ শব্দ যুক্ত করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ বলেও মন্তব্য করা হয়।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৬-১২-২০১১)।
** মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতাদেবী এরকম অনেক ফাঁকা আওয়াজ দিয়েছেন, মানুষকে খেপিয়েছেন আর আজও তাই করছেন।
‘‘পশ্চিমবঙ্গে গোর্খা জনজাতির স্বশাসনের আকাঙ্ক্ষা বানচাল করিতেও কখনও সমতলকে পাহাড়ের বিরুদ্ধে সমাবেশিত করিয়া, কখনও ডুয়ার্স ও তরাইয়ে বসবাসকারী অন্য জনজাতি, বাগিচা-শ্রমিক ও বাংলাভাষীদের গোর্খাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়া দিয়া সেই আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা হইয়াছে। গোর্খা নেতৃত্বের একাংশকে ‘খরিদ’ করিয়া আন্দোলন ভাঙিয়া দেওয়ার অপকৌশল তো আছেই। সমতলের, এই সার্বিক আক্রমণে প্রান্তিক জনজাতীয় স্বশাসনের আকাঙ্ক্ষা পুরণ হওয়া কঠিন।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১২-০৬-২০১২)।
** এ সবই করেছেন, করে চলেছেন মমতাদেবী এবং এ খরিদ হচ্ছে দেশের মানুষের টাকায়।
‘‘এই মুহূর্তে শহরের সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী ? সাচার কমিটির রিপোর্ট বলছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমরা। কলকাতা পুরসভার চোখে অবশ্য সংখ্যালঘুদের প্রধান সমস্যা, শৌচাগারের অভাব। সংখ্যালঘু উন্নয়নে তৃণমূল পুরবোর্ডের খরচের খতিয়ান অন্তত সে কথাই বলছে। সংখ্যালঘু এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া এমএসডিপি (মাল্টি সেক্টরাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান) তহবিলের সিংহভাগ টাকা পুরসভা খরচ করেছে সুলভ শৌচাগার নির্মাণে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রকল্পের টাকা শুধুমাত্র সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় স্কুল, হেলথ ইউনিট, ডিসপেনসারি, ম্যালেরিয়া ক্লিনিক, যক্ষ্মারোগীদের জন্য ডটস সেন্টার, টিকাপ্রদান কেন্দ্র, পানীয় জলের নলকূপ এবং আইসিডিএস কেন্দ্র নির্মাণের কাজে ব্যবহার করতে হবে। পুরকর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় নিয়ম লঙ্ঘন করায় আগামী দিনে সংখ্যালঘুদের জন্য নতুন কোনও প্রকল্প আদায় করতে বেগ পেতে হবে পারে। এমনকী চালু প্রকল্প বরাদ্দ কমিয়েও দিতে পারে কেন্দ্র।’’ (সূত্র: এইসময়, ০৬-১১-২০১২)।
** বোঝ ঠ্যালা ! সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন না করে তাদের জন্য সুলভ শৌচাগার হচ্ছে এবং অবশ্যই এ কাজের ঠিকাদারি পাচ্ছেন তৃণমূলের ভৈরববাহিনী।
‘‘...। তাঁদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিরুপণে নতুন মুখ্যমন্ত্রী ‘মমতাজ’ হয়ে উঠুন- রাজ্যের মুসলিম সমাজের এমন কাম্য নয়। তাঁরা চান উনি ‘মমতাময়ী’ হয়ে সবার প্রতি সুবিচার করুন। প্রাপ্য দিন। কিন্তু গত দেড় বছরে তাদের ওই প্রত্যাশার ছিঁটফোঁটার বেশি পূরণ হয়নি। ওঁদের বক্তব্য, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত তিন হাজার ইমামকে মাসে আড়াই হাজার টাকা খয়রতি দেওয়াকেই রাজ্যের পৌনে তিন কোটি মুসলিমের উন্নয়নের বিরাট কাজ বলে মনে করেন। নয়তো ভাবছেন, গোটাকতক হজ হাউস বানালেই অথবা কয়েক হাজার খারিজি মাদ্রাসাকে সরকারি অনুমোদনের টোপ দিলেই গোটা মুসলিম সমাজ কৃতার্থ হয়ে যাবে ! অথচ, বাস্তব হল, এতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নের এক শতাংশও হয় না, কিন্তু প্রতিবেশি জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে তাঁদের প্রতি বিরূপ মনোভাব সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই দাবি করে থাকেন, মুসলিমদের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই নব্বই শতাংশ কাজ করে ফেলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে একইসঙ্গে কৌতূক ও উষ্মার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দাবি করেছেন, দেড় বছরের পরিবর্তনের সরকারের আমলে রাজ্যে সরকারি, আধা সরকারি চাকরি এবং অন্যভাবে মোট কতটা কর্মসংস্থান হয়েছে, আর মুসলিমরা এর কত অংশ পেয়েছেন সেসম্পর্কে সুনিদ্দিষ্ট এবং বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। একইসঙ্গে নতুন স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, বিদ্যুতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুন জমানায় মুসলিম জনগোষ্ঠী কতটা উপকৃত হয়েছে তার খতিয়ানও প্রকাশ করা হোক। অনেকেরই স্থির বিশ্বাস, সরকার ওই পথে এগোবে না।’’ (সূত্র: বর্তমান, ২২-১২-২০১২)।
** ভয়ঙ্কর ধাপ্পাবাজি-ধোকাবাজি-মিথ্যাচারের এ খবরটি মমতাময়ী সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়েছে। মিথ্যার প্রতিভূ মমতাদেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে এঁরাও প্রভূত মিথ্যাচার করেছিলেন, এরাজ্যের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু সবার সর্বানাশের জন্যেই এঁরাও দয়ি থাকবেন।
‘‘ভাঙড়েই সংখ্যালঘু মেডিক্যাল কলেজ গড়তে মরিয়া রাজ্য’’ (সূত্র: এইসময়, ১০-০১-২০১৩)।
** ভয়ানক খবর। এভাবে রাজ্যের মুসলিম ভাই-বোনদের আলাদা-অস্পৃশ্য করে দেওয়ার এবং তাদের শিকার করে তোলার চক্রান্ত করছেন তৃণমূলনেত্রী। সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা সাবধান হোন, আসুন প্রতিবাদ করি।
‘‘বাজেটে প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্য সরকার এমন কিছু উন্নয়ন করবে, যার দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাবেন সংখ্যালঘু মানুষ। কিন্তু সরকারি তথ্যই বলছে, জনমোহিনী নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ঘোষিত লক্ষ্য থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। যে দফতরের দায়িত্ব খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। বছরের শেষ ভাগে এসে অর্থ দফতর জানাচ্ছে, ওই দফতরের জন্য পরিকল্পনা খাতে যত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, তার ৫০ শতাংশেরও বেশি এখনও খরচই করা সম্ভব হয়নি। অথচ, হাততালি কুড়োনোর প্রকল্পে দান-খয়রাতি করতে গিয়ে পরিকল্পনা বর্হিভূত খাতে বেরিয়ে গিয়েছে বরাদ্দের অতিরিক্র অর্থ ! বাড়তি খরচের সেই সংখ্যাটা খুব কম নয়, ১০০ কোটি টাকা।...সরকারি হিসেব বলছে, পরিকল্পনা খাতে বাজেটে বরাদ্দ ৫৭০ কোটি টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২৫৫ কোটি খরচ করতে পেরেছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। অথচ, পরিকল্পনা বর্হিভূত খাতে সরকার যেখানে ৩৬৬ কোটি টাকা খরচ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল, সেখানে ইতিমধ্যেই ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, পরিকল্পনা খাতে ৪৪ শতাংশ খরচ হলেও পরিকল্পনা বর্হিভূত খাতে ১২৭ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৩-০১-২০১৩)।
** এটাই সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের প্রতি মমতাদেবীর মমতা-দরদ। খোঁজ করলে দেখা যাবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের বেশির ভাগ টাকাই খরচ হয়েছে দানে, বদান্যতায়, পেটোয়া মুখপত্র তৈরি করার পেছনে।
** এই খবরটি পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নানা কাজ-কর্মের মধ্য দিয়ে প্রকারন্তরে প্রবীণ তোগাড়িয়া, নরেন্দ্র মোদী, অশোক সিঙ্ঘলদের পশ্চিমবঙ্গে পা-রাখার ও ঠাঁই পাবার জায়গা করে দিচ্ছেন! ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছেন, সংখ্যালঘু উন্নয়নে তাঁর সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রায় একশো শতাংশ ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছে। অথচ গত দেড় বছরে রাজ্যে সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের তেমন সুযোগ দেওয়া যায়নি বলে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিল তাঁরই হাতে থাকা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ২৪-১১-২০১২)।
** সত্য প্রকাশিত হয়। দেরিতে হলেও।
‘‘মিলন মেলা প্রাঙ্গণে হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কার্যত গুজরাটকে অনুসরণ করার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন কাটজু। তিনি বলেন, উনি জানেন কি, সারা দেশের মধ্যে গুজরাটেই সবথেকে বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভোগে ? গুজরাতে অনেক শিল্প-কলকারখানা হয়েছে, এটা ঠিক কথা। কিন্তু এই সাফল্যেই সব নয়। এই আংশিক সাফল্য দেখে গুজরাটকে মডেল হিসাবে অনুসরণ করার কথা ভাবা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।’’ (সূত্র: বর্তমান, ২৬-১১-২০১২)।
** বস্তুত মনেপ্রাণে নরেন্দ্র মোদীপ্রেমী এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মাঝে মাঝে বেরিয়ে আসে তাঁর মনের কথা।
মমতা কি সংখ্যালঘু দরদী ? এ প্রসঙ্গে গুজরাট প্রশ্নে লোকসভায় ভোটাভুটির সময় তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কে ১৭ই বৈশাখ ১৪০৯তারিখে আনন্দবাজারের সম্পাদকীয়, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস তো আগে হইতেই সমর্থনের কথা ঘোষণা করিয়া দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পাইতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে বাজপেয়ীকে খুশি করার এমন মওকা হাতছাড়া করা কঠিন। ইহার পরও গুজরাতের নিহত-নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য তাঁহার উদ্যোগ যেমন কুম্ভীরাশ্রু বলিয়া গণ্য হইবে, তেমনই নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফার দাবি প্রতারণামূলক ও লোক দেখানো শোনাইবে।’’
** মমতাদেবী সর্ববিষয়েই কুম্ভীরাশ্রু ফেলেন, সংখ্যালঘু ভাইয়েরা সতর্ক হোন।
‘‘Last week Ms. Banerjee set a new law in parliamentary decorum: She flung a sheaf of papers at the Speaker’s podium and then announced her ‘resignation’ from the House. The theatrics were supposedly on account of Speaker Somnath Chatterjee’s rejection of an adjou
ment motion she had sought to move on the issue of influx of Bangladeshi nationals.’’ (The Hindu, ০৮-০৮-২০০৫)।
** অর্থাৎ তৃণমূলনেত্রী সেদিন ‘‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের’ বিরুদ্ধে লোকসভায় সরব হতে গিয়ে, লোকসভায় মাননীয় অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছুঁড়ে মেরেছিলেন। তৃণমূলনেত্রী কি জানেন না যে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যেই সংখ্যালঘু ভাইদের অনেককেই প্রায়শই হেনস্তা করা হয় ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে?
আজকের রুদালী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন অতীতে সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে এরকম ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করছিলেন সেই সময়ই অভিনেতা দিলীপকুমারকে সংখ্যালঘু হবার অপরাধে হিন্দু মৌলবাদীরা আক্রমণ করছিল। The Statesman, 13-07-1999 আর তাই দিলীপকুমারকে বাঁচাবার জন্য সম্পাদকীয়তে লিখেছিল, ‘‘Dilip says he may be forced to abandon Mumbai and live elasewhere. If he wants to live in the most civilized metropolies in the country he should come to Calcutta.’’ অর্থাৎ ঐ অভিনেতাকে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এসে থাকার উপদেশ দিয়েছিলো। আর ঐ সময় The Sunday Times of India লিখেছিলো ‘‘West Bengal is still a safe haven for minorities’’ অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের বসবার করার জন্য নিরাপদ স্বর্গরাজ্য।
সৌভ্রাতৃত্ব-সৌহার্দের ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলা আজ মমতাদেবীর কুটিল ষড়যন্ত্রের শিকার হতে চলেছে।
‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সরকার ইমামদের জন্য ভাতা বণ্টনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের কাঁটা। ইমাম ভাতার নাম করে আসা টাকা ইমামের পরিবর্তে ভুয়ো পরিচয়ে তুলে নিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা – এমনই অভিযোগ উঠেছে হুগলির গোঘাট থানার টাঁড়ুই গ্রামে। স্থানীয় এক দাপুটে তৃণমূল নেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ইমাম ভাতার আবেদনপত্রে নিজের বাবার নাম লিখে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে গ্রমাবাসীর অভিযোগ। শুধু তাই নয়, দলের ছাতার তলায় বসে টাঁড়ুই গ্রামের মসজিদের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং চাষের জমিও নাকি হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। সেই জমি এবং টাকা ফেরতের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। অন্য দিকে, এই ঘটনার প্রসঙ্গেই পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতার বাবার নাম ইতিমধ্যেই ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এমনকী, একটি ডাকাতির মামলায় বছর ছ’য়েক জেলও খেটেছেন তিনি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম শেখ মোহর চাঁদ। অভিযোগ, বাবা শেখ মহম্মদ নাজির আহমেদের নামে ইমাম ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অথচ এর বিন্দুবিসর্গও জানেন না টাঁড়ুই গ্রামের ইমাম সাহেব শেখ আলাউদ্দিন পাঠান।’’ (সূত্র: এই সময়, ০৯-১২-২০১২)।
** ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষকে এভাবে অসন্মানিত ও অপমানিত হতে আমি ইতিপূর্বে দেখিনি।
‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইমামদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও আর্থিক সঙ্কটের জেরে উত্তর ২৪পরগনা জেলায় আগস্ট মাস থেকে ইমাম ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তার ফলে জেলার প্রায় ২৩০০ইমাম আগস্ট মাস থেকে ভাতা পাননি। এছাড়াও জেলার প্রায় এক হাজার মোয়াজ্জেমও নভেম্বর সামের ভাতা পাননি। তবে এই চিত্র শুধু উত্তর ২৪পরগনা জেলারই নয়। মুসলিম প্রধান মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলাতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন।’’ (সূত্র: বর্তমান, ১১-১২-২০১২)।
** ধোঁকাবাজি, কেবল ধোঁকাবাজি চলছে, সে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু যাই হোন না কেন!
‘‘তবে জঙ্গিপুরে বড় চমক, বি জে পি’র পক্ষে অস্বাভাবিক জনসমর্থন। ২০০৯সালের লোকসভা নির্বাচনে ওই আসনে পদ্মফুলের পক্ষে ভোট পড়েছিল ২২ হাজারের মতো। এবার বি জে পি প্রার্থী সুধাংশু বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট হল ৮৫ হাজার ৮৮৬। অর্থাৎ, আড়াই শতাংশ থেকে তাদের ভোট এক লাফে বেড়ে ১০ শতাংশের উপর চলে গিয়েছে।’’ (সূত্র: বর্তমান, ১৪-১০-২০১২)।
** ২০ বছর পর আর এস এস আমাদের রাজ্যেই সর্ববৃহৎ প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে, বি জে পি’র বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। আর এই সাহস ও স্পর্ধা জোগাচ্ছেন ‘সংখ্যালঘুদরদী’ মুখ্যমন্ত্রী! এ অর্বাচীন মুখ্যমন্ত্রীকে আর বাড়তে দিলে বাড়বে সাম্প্রদায়িক বিজেপি সেটাই স্বাভাবিক। ‘‘সংখ্যালঘুদের জন্য ৫৬টি ‘মার্কেটিং হাব’ গড়া হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।...তাঁর দাবি, ক্ষমতায় আসার আগে যে সব কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক বছরেই তা করা হয়ে গিয়েছে। আর কী করা যায়, সরকার এখন তা ভাববে।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১১-১০-২০১২)।
** সত্যি কি ভয়ঙ্কর মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের সব কাজই নাকি হয়ে গিয়েছে !
‘‘সরাসরি মুসলিম সংরক্ষণ চেয়ে বার্তা দিল তৃণমূল’’ শিরোনামে খবর, ‘‘তা হলে সুলতান কেন এই প্রসঙ্গ তুললেন ? তৃণমূল সূত্রের খবর, সুলতান নিজেও বিষয়টি সম্পর্ক অবহিত। কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভেবেই তিনি ওি দাবি তুলেছেন। দলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার যদি ওই সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে যে কেউ তার বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন। আদালত যে রায় দেবে, সরকার তা মানতে বাধ্য। কিন্তু আদালতের রায় বিরুদ্ধে গেলেও সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে বার্তা যথাস্থানে পৌঁছে যাবে।’’ উদাহরণ হিসেবে সিঙ্গুর আইনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, ‘‘বিষয়টি আদালতে ঝুলে রয়েছে। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছেন যে, অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা কতটা।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আদালতের উপর তো কারও হাত নেই। ফলে সেই রাবের জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৩-০৫-২০১২)।
‘‘এবার সরাসরি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের দাবি তুলিয়া দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সংখ্যালঘু নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদ দাবি তুলিয়াছেন অথবা তাঁকে দিয়া দাবিটি তোলানো হইয়াছে, হয়তো এই লক্ষ্যে, যাহাতে পরে বিপাকে পড়িলে বলা যায়—দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে তো এমন দাবি নাই। সংরক্ষণের এই দাবির আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী দুইটি স্বতন্ত্র ঘোষণায় ইমামদের মাসিক ভাতা এবং মুয়েজ্জিনদের মাসোহারা দিবার সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিয়াছেন। এই গোটা কর্মসূচিরই অভিমুখ ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে কিছু পাওয়াইয়া দেওয়ার। সংবিধানে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক অনুগ্রহ বিতরণ অবাঞ্ছিত অথবা সরাসরি নিষিদ্ধ। সংরক্ষণ কিংবা অনুগ্রহ বিলির একমাত্র স্বীকৃত ভিত্তি সেখানে সামাজিক অনগ্রসরতা, আর্থিক পশ্চাৎপদতাও যাহার একটি অঙ্গ হিসাবে গণ্য হইতে পারে, ধর্মীয় পরিচয় নয়। কিন্তু তাহাতে সুলতান আহমেদ কিংবা তাঁহার নেত্রীকে দমানো যায় নাই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৬ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট বাক্সবন্দি করিতে বোধ করি যে কোনও পন্থাপদ্ধতিই শিরোধার্য।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৬-০৫-২০১২)।
** ভয়ঙ্কর শঠতা-প্রবঞ্চনা-তঞ্চকতা করা হচ্ছে আমার সংখ্যালঘু মা-ভাই-বোনদের সঙ্গে।
‘‘বাম সরকারের আমলেই আলিয়া মাদ্রাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ যুক্ত করার দাবিতে এক বছর আগে মাদ্রাসা ইউনিয়নের ছাত্ররা অনশন-আন্দোলন করেছিলেন। তখন তাঁদের অনশন ভাঙিয়ে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁরা সরকারে এলে ছাত্রদের ওই দাবি পূরণ করা হবে। এ দিন শিলান্যাস অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নে’র রাজ্য কমিটির তরফে একটি বিবৃতি বিলি করা হয়। সেই বিবৃতিতে কার্যত ‘কটাক্ষই’ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ শব্দ যুক্ত করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ বলেও মন্তব্য করা হয়।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৬-১২-২০১১)।
** মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতাদেবী এরকম অনেক ফাঁকা আওয়াজ দিয়েছেন, মানুষকে খেপিয়েছেন আর আজও তাই করছেন।
‘‘পশ্চিমবঙ্গে গোর্খা জনজাতির স্বশাসনের আকাঙ্ক্ষা বানচাল করিতেও কখনও সমতলকে পাহাড়ের বিরুদ্ধে সমাবেশিত করিয়া, কখনও ডুয়ার্স ও তরাইয়ে বসবাসকারী অন্য জনজাতি, বাগিচা-শ্রমিক ও বাংলাভাষীদের গোর্খাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়া দিয়া সেই আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা হইয়াছে। গোর্খা নেতৃত্বের একাংশকে ‘খরিদ’ করিয়া আন্দোলন ভাঙিয়া দেওয়ার অপকৌশল তো আছেই। সমতলের, এই সার্বিক আক্রমণে প্রান্তিক জনজাতীয় স্বশাসনের আকাঙ্ক্ষা পুরণ হওয়া কঠিন।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১২-০৬-২০১২)।
** এ সবই করেছেন, করে চলেছেন মমতাদেবী এবং এ খরিদ হচ্ছে দেশের মানুষের টাকায়।
‘‘এই মুহূর্তে শহরের সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী ? সাচার কমিটির রিপোর্ট বলছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমরা। কলকাতা পুরসভার চোখে অবশ্য সংখ্যালঘুদের প্রধান সমস্যা, শৌচাগারের অভাব। সংখ্যালঘু উন্নয়নে তৃণমূল পুরবোর্ডের খরচের খতিয়ান অন্তত সে কথাই বলছে। সংখ্যালঘু এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া এমএসডিপি (মাল্টি সেক্টরাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান) তহবিলের সিংহভাগ টাকা পুরসভা খরচ করেছে সুলভ শৌচাগার নির্মাণে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রকল্পের টাকা শুধুমাত্র সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় স্কুল, হেলথ ইউনিট, ডিসপেনসারি, ম্যালেরিয়া ক্লিনিক, যক্ষ্মারোগীদের জন্য ডটস সেন্টার, টিকাপ্রদান কেন্দ্র, পানীয় জলের নলকূপ এবং আইসিডিএস কেন্দ্র নির্মাণের কাজে ব্যবহার করতে হবে। পুরকর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় নিয়ম লঙ্ঘন করায় আগামী দিনে সংখ্যালঘুদের জন্য নতুন কোনও প্রকল্প আদায় করতে বেগ পেতে হবে পারে। এমনকী চালু প্রকল্প বরাদ্দ কমিয়েও দিতে পারে কেন্দ্র।’’ (সূত্র: এইসময়, ০৬-১১-২০১২)।
** বোঝ ঠ্যালা ! সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন না করে তাদের জন্য সুলভ শৌচাগার হচ্ছে এবং অবশ্যই এ কাজের ঠিকাদারি পাচ্ছেন তৃণমূলের ভৈরববাহিনী।
‘‘...। তাঁদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিরুপণে নতুন মুখ্যমন্ত্রী ‘মমতাজ’ হয়ে উঠুন- রাজ্যের মুসলিম সমাজের এমন কাম্য নয়। তাঁরা চান উনি ‘মমতাময়ী’ হয়ে সবার প্রতি সুবিচার করুন। প্রাপ্য দিন। কিন্তু গত দেড় বছরে তাদের ওই প্রত্যাশার ছিঁটফোঁটার বেশি পূরণ হয়নি। ওঁদের বক্তব্য, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত তিন হাজার ইমামকে মাসে আড়াই হাজার টাকা খয়রতি দেওয়াকেই রাজ্যের পৌনে তিন কোটি মুসলিমের উন্নয়নের বিরাট কাজ বলে মনে করেন। নয়তো ভাবছেন, গোটাকতক হজ হাউস বানালেই অথবা কয়েক হাজার খারিজি মাদ্রাসাকে সরকারি অনুমোদনের টোপ দিলেই গোটা মুসলিম সমাজ কৃতার্থ হয়ে যাবে ! অথচ, বাস্তব হল, এতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নের এক শতাংশও হয় না, কিন্তু প্রতিবেশি জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে তাঁদের প্রতি বিরূপ মনোভাব সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই দাবি করে থাকেন, মুসলিমদের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই নব্বই শতাংশ কাজ করে ফেলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে একইসঙ্গে কৌতূক ও উষ্মার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দাবি করেছেন, দেড় বছরের পরিবর্তনের সরকারের আমলে রাজ্যে সরকারি, আধা সরকারি চাকরি এবং অন্যভাবে মোট কতটা কর্মসংস্থান হয়েছে, আর মুসলিমরা এর কত অংশ পেয়েছেন সেসম্পর্কে সুনিদ্দিষ্ট এবং বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। একইসঙ্গে নতুন স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, বিদ্যুতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুন জমানায় মুসলিম জনগোষ্ঠী কতটা উপকৃত হয়েছে তার খতিয়ানও প্রকাশ করা হোক। অনেকেরই স্থির বিশ্বাস, সরকার ওই পথে এগোবে না।’’ (সূত্র: বর্তমান, ২২-১২-২০১২)।
** ভয়ঙ্কর ধাপ্পাবাজি-ধোকাবাজি-মিথ্যাচারের এ খবরটি মমতাময়ী সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়েছে। মিথ্যার প্রতিভূ মমতাদেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে এঁরাও প্রভূত মিথ্যাচার করেছিলেন, এরাজ্যের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু সবার সর্বানাশের জন্যেই এঁরাও দয়ি থাকবেন।
‘‘ভাঙড়েই সংখ্যালঘু মেডিক্যাল কলেজ গড়তে মরিয়া রাজ্য’’ (সূত্র: এইসময়, ১০-০১-২০১৩)।
** ভয়ানক খবর। এভাবে রাজ্যের মুসলিম ভাই-বোনদের আলাদা-অস্পৃশ্য করে দেওয়ার এবং তাদের শিকার করে তোলার চক্রান্ত করছেন তৃণমূলনেত্রী। সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা সাবধান হোন, আসুন প্রতিবাদ করি।
‘‘বাজেটে প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্য সরকার এমন কিছু উন্নয়ন করবে, যার দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাবেন সংখ্যালঘু মানুষ। কিন্তু সরকারি তথ্যই বলছে, জনমোহিনী নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ঘোষিত লক্ষ্য থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। যে দফতরের দায়িত্ব খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। বছরের শেষ ভাগে এসে অর্থ দফতর জানাচ্ছে, ওই দফতরের জন্য পরিকল্পনা খাতে যত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, তার ৫০ শতাংশেরও বেশি এখনও খরচই করা সম্ভব হয়নি। অথচ, হাততালি কুড়োনোর প্রকল্পে দান-খয়রাতি করতে গিয়ে পরিকল্পনা বর্হিভূত খাতে বেরিয়ে গিয়েছে বরাদ্দের অতিরিক্র অর্থ ! বাড়তি খরচের সেই সংখ্যাটা খুব কম নয়, ১০০ কোটি টাকা।...সরকারি হিসেব বলছে, পরিকল্পনা খাতে বাজেটে বরাদ্দ ৫৭০ কোটি টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২৫৫ কোটি খরচ করতে পেরেছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। অথচ, পরিকল্পনা বর্হিভূত খাতে সরকার যেখানে ৩৬৬ কোটি টাকা খরচ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল, সেখানে ইতিমধ্যেই ৪৬৬ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, পরিকল্পনা খাতে ৪৪ শতাংশ খরচ হলেও পরিকল্পনা বর্হিভূত খাতে ১২৭ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে।’’ (সূত্র: আনন্দবাজার, ১৩-০১-২০১৩)।
** এটাই সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের প্রতি মমতাদেবীর মমতা-দরদ। খোঁজ করলে দেখা যাবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের বেশির ভাগ টাকাই খরচ হয়েছে দানে, বদান্যতায়, পেটোয়া মুখপত্র তৈরি করার পেছনে।
সৌজন্যেঃ- সময়ের সাথে
Subscribe to:
Posts (Atom)