জলন্ধর, ১৫ই জানুয়ারি- গত সাত মাসে বোঝা গেছে নরেন্দ্র মোদীর ‘সুদিনের’ স্লোগানের প্রকৃত অর্থ কী। আদানি গোষ্ঠীর সম্পদ বেড়েছে ২৫হাজার কোটি টাকা। শ্রমজীবী মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন সমস্ত দিক থেকে। সি পি আই (এম)-র সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত এই কথা বলেছেন। সি পি আই (এম) পাঞ্জাব রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কারাত এই কথা বলেন। জলন্ধরের কাছে জান্ডিয়ালা মাঞ্জকিতে বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছে সম্মেলন।
কারাত বলেন, বি জে পি সরকারের নীতি প্রকটভাবে কর্পোরেট ও ধনীদের স্বার্থরক্ষা করছে। বেসরকারী ক্ষেত্রের হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিদেশী পুঁজির লুটের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রকে। নির্বাচনের আগে ‘সুদিন’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। অনেকের জন্য সেই সুদিন এসে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি আদানির সম্পদ সাত মাসে বেড়েছে ২৫হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, গরিব মানুষের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প ছাঁটাই করা হচ্ছে।
কারাত বলেন, বি জে পি-র এই কয়েকমাসের শাসনেই ন’টি অর্ডিন্যান্স জারি হয়েছে। বীমাক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ, শ্রম আইন সংশোধন, জমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধন, কয়লাক্ষেত্র খুলে দেওয়া, খনিক্ষেত্র খুলে দেওয়ার জন্য অর্ডিন্যান্স হচ্ছে। সরকার সংসদকে এড়িয়ে যেতে চাইছে। লোকসভায় বি জে পি-র নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও সংসদকে এড়িয়ে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই দুর্বল করতে চাইছে বি জে পি।
কারাত বলেন, বি জে পি চলছে আর এস এস-র নির্দেশে। আর এস এস হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে। বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতির ভারতকে নষ্ট করতে চাইছে আর এস এস। দেশে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ঘটিয়ে শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ধ্বংস করতে চায় তারা। একদিকে ধনীদের মুনাফা বৃদ্ধির নীতি, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা দেশের সামনে গুরুতর বিপদ উপস্থিত করেছে।
কারাত বলেন, এই উভয় বিপদের বিরুদ্ধে বড় লড়াইবের জন্য সি পি আই (এম) প্রস্তুত হচ্ছে। এই লড়াইয়ে বামপন্থী শক্তিসমূহের ঐক্য প্রয়োজন। বামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য গঠনের চেষ্টাও জারি রয়েছে। বামপন্থীরাই দেশের এই বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম।
No comments:
Post a Comment