সিপিএমের 'এই চেহারা' তৃণমূলের দীর্ঘ ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে।
পক্ষে: কথাটা ১০০ শতাংশ সত্যি। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার অনেক ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত ব্যর্থ। পরিবর্তন এখন অভিশপ্ত। রাজ্য জুড়ে নানা বিশৃঙ্খলা। কিন্তু বিকল্প হিসেবে যাদের দিকে তাকাই, সেই ব্যক্তিদের আর কিছুই দেওয়ার নেই। বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, নিরুপম সেনরা রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। তাঁদের এখন বনবাসে যাওয়ার সময়। সিপিএম পার্টি দেউলিয়া। অন্য বামদলগুলি তার পরগাছা। বৃদ্ধ অশোক ঘোষ থেকে বাকি বাম নেতারাও অচল আধুলি। বাম দলগুলিতে কোনও তাজা রক্ত নেই। কসবার নবীন কমরেড শতরূপ ঘোষ থেকে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও তাজা রক্তকেই 'উঠতে' দেওয়া হচ্ছে না। বাঙালি কাঁকড়ার মতো ক্ষমতা দখল করে পার্টির উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন পলিটব্যুরোর 'পলিটিক্যালি বুড়োরা'। নেই কোনও ভাল মহিলা নেত্রীও। রেজিমেন্টেড পার্টির হাইকমান্ড হয়ে উঠেছেন প্রকাশ কারাট। প্রকাশ-বৃন্দার ইচ্ছেতেই চলে পার্টি। পার্টিতে বাঙালি নেতাদের কদরই নেই। বুদ্ধ-বিমান-নিরুপম-সেলিমের মতো তিন দশকের পুরনো মুখ আর তাঁদের মুখ নিঃসৃত শূন্যগর্ভ বাণীগুলি শুনে রাজ্যবাসী ক্লান্ত, হতাশ। তাই বিপথগামী ও ব্যর্থ তৃণমূলের 'দীর্ঘ' ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করছে এই দিশাহীন ভগ্ন, ন্যুব্জ চেহারার সিপিএমই।
বিপক্ষে: সিপিএম এই চেহারা নিয়েই ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ সিপিএমের পায়ে শক্ত জমি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তাঁর মন্তব্য, প্রতিক্রিয়া, কাজকর্ম এমনই ভুলে ভরা যে এই দিশাহীন, ভগ্ন, ন্যুব্জ সিপিএমকেই দিশা ও শক্তি দেবে সেগুলি। ধর্ষণ, খুন, দুর্ঘটনা সবেই সিপিএমের চক্রান্তের ভূত দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তার উপর সিপিএম সুলভ রেজিমেন্টেড কায়দায় 'দল চালাচ্ছে' এবং ভোটের সময় 'ভোট করাচ্ছে' তৃণমূল। যা ভালভাবে নিচ্ছে না মানুষ। দাদাগিরি দেখে দু বছরেই পরিবর্তন নিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে রাজ্যবাসীর। তাই বৃদ্ধাশ্রম হয়ে যাওয়া আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ধীরে ধীরে শক্তি ও জমি ফিরে পাচ্ছে। এভাবে চললে পরের বিধানসভাতেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে তৃণমূল। তার আগে লোকসভা বা পঞ্চায়েতেও অগ্নিপরীক্ষার মুখে 'কংগ্রেস বিহীন' তৃণমূল। তাই দীর্ঘ ক্ষমতায়ন হবে না। কারণ দলটার নাম তৃণমূল।
No comments:
Post a Comment