ভারতে স্বাধীনতার ৬১
কদম কদম বঢ়ায়ে যা
খুশি কে গীত গায়ে যা ...
আজ ৬১তম স্বাধীনতা দিবস।
সার্থক জনম (কবি-শুভ দাশগুপ্ত)
যে ছেলেটা চায়ের দোকানের এঁটো কাপ ধুচ্ছে রাস্তার ধারে, তাকে ডাকুন ।
তার কানে কানে বলুন সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং
হ্যাঁ, বেশ সুন্দর করে বলুন,যে মেয়েটা চাকরির নাম করে
বনগাঁ কিংবা চাকদা থেকে রোজ সকালের ট্রেনে সেজেগুজে
শহরে আসছে, শরীর বেচে চাল, ডাল, নুন কিনতে, তাকে ডাকুন,
তার কানে কানে সুরেলা কন্ঠে বলুন, সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
যে ছেলেটি লটারির টিকিট নিয়ে দরজায় দরজায় ঘুরছে আর বলছে
বিশ্বাস করুন, আমি ভদ্রলোক, আজ ১০ বছর হল আমার
কারখানা বন্ধ, লক-আউট, তাকে ডাকুন, তার কানে কানে
বলুন, বল বল বল সবে শতবীণা বেণুরবে ভারত আবার
জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে ।
রাতের আকাশ-কাঁপিয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামলে, যে মা
আজও লন্ঠন হাতে টালির ঘরের দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন
তাঁর খোকন ফিরে আসবে বলে । যে খোকনকে এমনই
এক বর্ষায় উন্মত্ত রাতে কালো গাড়ির পুলিশ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল
আর বরানগরের রাস্তায় ভোরের ঘুম-ভাঙা
কুকুর প্রথম দেখেছিল যার গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশ,
সেই মাকে ডাকুন, তাঁর কানে কানে বলুন,
হাম বুলবুলি হ্যায় ইসকি ইয়ে গুলিস্তা হামারা, সারে যাঁহা......হামারা ।
সবাইকে সব বলা শেষ হলে, সুনসান শীতের রাতে
পাঁচমাথার মোড়ে ঘোড়ায় চড়ে বসা সেই মহাবিপ্লবীর
পায়ের সামনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান
ফাঁকা রাস্তায় রাতের বাতাসে কান পাতুন
শুনতে পাবেন সেই বিপ্লবী পুরুষের বজ্রকণ্ঠ
আমি তোমাদের কাছে রক্ত চেয়েছিলাম
তোমাদের স্বাধীনতা এনে দেব বলে, আমি পারিনি
কিন্তু আমি আমার সমস্ত জীবন উৎসর্গ করেছি ।
আর তোমরা ? --- তোমরা ??
(কবি-শুভ দাশগুপ্ত)
খুশি কে গীত গায়ে যা ...
আজ ৬১তম স্বাধীনতা দিবস।
সার্থক জনম (কবি-শুভ দাশগুপ্ত)
যে ছেলেটা চায়ের দোকানের এঁটো কাপ ধুচ্ছে রাস্তার ধারে, তাকে ডাকুন ।
তার কানে কানে বলুন সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং
হ্যাঁ, বেশ সুন্দর করে বলুন,যে মেয়েটা চাকরির নাম করে
বনগাঁ কিংবা চাকদা থেকে রোজ সকালের ট্রেনে সেজেগুজে
শহরে আসছে, শরীর বেচে চাল, ডাল, নুন কিনতে, তাকে ডাকুন,
তার কানে কানে সুরেলা কন্ঠে বলুন, সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
যে ছেলেটি লটারির টিকিট নিয়ে দরজায় দরজায় ঘুরছে আর বলছে
বিশ্বাস করুন, আমি ভদ্রলোক, আজ ১০ বছর হল আমার
কারখানা বন্ধ, লক-আউট, তাকে ডাকুন, তার কানে কানে
বলুন, বল বল বল সবে শতবীণা বেণুরবে ভারত আবার
জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে ।
রাতের আকাশ-কাঁপিয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামলে, যে মা
আজও লন্ঠন হাতে টালির ঘরের দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন
তাঁর খোকন ফিরে আসবে বলে । যে খোকনকে এমনই
এক বর্ষায় উন্মত্ত রাতে কালো গাড়ির পুলিশ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল
আর বরানগরের রাস্তায় ভোরের ঘুম-ভাঙা
কুকুর প্রথম দেখেছিল যার গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশ,
সেই মাকে ডাকুন, তাঁর কানে কানে বলুন,
হাম বুলবুলি হ্যায় ইসকি ইয়ে গুলিস্তা হামারা, সারে যাঁহা......হামারা ।
সবাইকে সব বলা শেষ হলে, সুনসান শীতের রাতে
পাঁচমাথার মোড়ে ঘোড়ায় চড়ে বসা সেই মহাবিপ্লবীর
পায়ের সামনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান
ফাঁকা রাস্তায় রাতের বাতাসে কান পাতুন
শুনতে পাবেন সেই বিপ্লবী পুরুষের বজ্রকণ্ঠ
আমি তোমাদের কাছে রক্ত চেয়েছিলাম
তোমাদের স্বাধীনতা এনে দেব বলে, আমি পারিনি
কিন্তু আমি আমার সমস্ত জীবন উৎসর্গ করেছি ।
আর তোমরা ? --- তোমরা ??
(কবি-শুভ দাশগুপ্ত)